মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ বিকাল ৪:৫৩
Home / আন্তর্জাতিক / আদালতের ওপর বিশ্বাস ভেঙে গেছে: সায়্যিদ মাহমুদ মাদানী
সায়্যিদ মাহমুদ মাদানী

আদালতের ওপর বিশ্বাস ভেঙে গেছে: সায়্যিদ মাহমুদ মাদানী

নাজমুল মনযূর: আদালতের ওপর বিশ্বাস ভেঙেছে ইংরেজ খেদাও আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা সেই মুসলমানদের। এমন কথাই জানালেন জমিয়তে উলামা হিন্দের জেনারেল সেক্রেটারী মাওলানা সাইয়্যিদ মাহমুদ মাদানি। তিনি বলেন, সুপ্রিমকোর্টের রায়ের ভিত্তি বেইনসাফের ওপর। বাবরি মসজিদের সত্যও বাস্তবতা উপেক্ষা করে সর্বোচ্চ আদালত বৈষম্যমূলক রায় দিয়েছে।

ভারতীয় মুসলমানদের উদ্দেশে মাহমুদ মাদানি বলেন, আগামীতে মিথ্যা সান্ত্বন হওয়ার মাশুল স্বরূপ আরও বড় বিপদ মোকাবিলার জন্য তৈরি থাকতে হবে।

বাবরি মসজিদ মামলায় সুপ্রিমকোর্টের ‌‘বিতর্কিত’ রায়ে মাওলানা সাইয়্যিদ মাহমুদ মাদানি সর্বোচ্চ আদালতের কঠোর সমালোচনা ও তীব্র নিন্দা করেন।

সুপ্রিম কোর্টের মহামান্য পাঁচ বিচারপতি তাদের রায়ে একদিকে বাবরি মসজিদের ভেতরে মূর্তি স্থাপন করা, অতঃপর পুনরায় তা ভাঙার বিষয়টিকে ভুল এবং অন্যায় ব্যাখ্যা দিয়েছেন। অপর দিকে বাবরি মসজিদের জায়গা অন্যায়ভাবে ওই সব মানুষদের দিয়ে দিয়েছেন যারা মসজিদকে অন্যায়ভাবে শহিদ করেছিল।

জমিয়তে উলামা হিন্দের জেনারেল সেক্রেটারী মাওলানা সাইয়্যিদ মাহমুদ মাদানি বলেন, এটি একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নিখুঁত ঘোর বৈষম্য ছাড়া আর কিছু নয়। এই রায়ের মধ্য দিয়ে এ দেশের সংখ্যালঘুদের আস্থা বিনষ্ট হয়েছে। বিশ্বাস উঠে গেছে। মুসলমানদের বিরুদ্ধে ন্যায়ের জায়গায় অন্যায় বিচার করা হয়েছে।


বর্তমান সময়টা মুসলমানদের জন্য পরীক্ষার দাবি করে জমিয়তে উলামা হিন্দের জেনারেল সেক্রেটারী মাওলানা সাইয়্যিদ মাহমুদ মাদানি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় ও বর্তমান প্রতিকূল অবস্থা মুসলমানদের জন্য ধৈর্যের পরীক্ষার সময়। এই পরিবেশে মুসমানদেরকে সহনশীল আচরণ করে যেতে হবে।


উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় ১৬ শতকের বাবরি মসজিদটি নিয়ে হিন্দু ও মুসলমানরা কয়েক দশক ধরে তিক্ত বিরোধে জড়িয়ে পড়েছেন।

হিন্দুদের বিশ্বাস, তাদের দেবতা রাম ওখানে জন্ম নিয়েছে। ১৯৯২ সালে কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা মসজিদটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলে উত্তেজনা দেখা দেয়। তখন দাঙ্গায় দুই হাজারের বেশি লোক নিহত হয়েছেন।

ভারতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ১৭ নভেম্বর অবসরের আগেই জায়গাটির মালিকানার দাবি নিয়ে মামলার রায় দেবেন বলে প্রত্যাশা করা হয়েছিল।

অযোধ্যা পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আশিস তিওয়ারি বলেন, বিভিন্ন সংস্থার কয়েক হাজার অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। অতিরিক্ত যান, সিসিটিভি ক্যামেরা, বডি ক্যামেরা ও ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে।

 

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

ইরাকের অভ্যন্তরে হস্তক্ষেপ বন্ধ করুন: আমেরিকাকে মুকতাদার হুঁশিয়ারি

কমাশিসা: ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া ধর্মীয় নেতা মুকতাদা আল-সাদ্‌র তার দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে আমেরিকার হস্তক্ষেপের তীব্র ...