বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ বিকাল ৫:৪৮
Home / ধারাবাহিক / জীবন্ত এক কিংবদন্তির বৈপ্লবিক কাহিনী (৩)

জীবন্ত এক কিংবদন্তির বৈপ্লবিক কাহিনী (৩)

প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবীবুর রহমান দা:বা: বিপ্লবি জীবনী

নাস্তিক, মুরতাদ তাসলিমা নাসরিন বিরোধী আন্দোলনের রূপকার-৩

নাস্তিক, মুরতাদ বিরোধী আন্দোলনের রূপকারঃ

এ সম্পদ বিলুপ্ত হলে কেউ নিজেকে কখনও সত্যিকার মুসলমান বলে দাবী করতে পারেনা। পরে প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান হাজার হাজার কন্ঠের গগণবিদারি তকবীর ধ্বনির মধ্যে ঘোষণা করেন আমার জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও নাস্তিক মুর্তাদদের বাংলার মাটিতে বরদাশত করবনা। সমাবেশ শেষে প্রিন্সিপাল সাহেবের নেতৃত্বে এক বিশাল মিছিল শহর প্রদক্ষীণ করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ধর্মমন্ত্রী এবং তথ্য মন্ত্রীর নিকট স্মারক লিপি দেয়া হয়। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় সরকার উক্ত রাষ্ট্রদ্রোহী ও ধর্মবিদ্বেষী মহিলার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বরং আশ্রয় প্রদান করে। তাই বাধ্য হয়ে প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান সাহেব ৯ অক্টোবর ১৯৯৩ইং সিলেট শহরে অর্ধ দিবস হরতাল আহবান করেন। শহরে নজীর বিহীন শান্তিপুর্ণ ও স্বতঃষ্ফুর্ত হরতাল পালিত হয়। হরতাল চলাকালীন এক বিরাট সমাবেশে তিনি ঘোষণা করেন আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসুচী রাজধানী ঢাকা থেকে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে ঘোষণা দেয়া হবে। এসব সংবাদ বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকা সহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রিকায় ফলাও করে প্রকাশিত হওয়ায় আন্দোলনরে রূপকার হিসাবে প্রিন্সিপাল সাহেব জনতার কিংবদন্তীতে রূপান্তরীত হন।
১৯৯৩ ইংরেজীর ১৯ অক্টোবর সন্ধায় প্রিন্সিপাল সাহেবের অক্লান্ত প্রচেষ্টার পর জামেয়া রাহমানিয়া মোহাম্মদপুরে শায়খুল হাদীস আল্লামা আজীজুল হক সাহেবের আহবানে ঢাকার আলেম সমাজের এক গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। প্রিন্সিপাল সাহেবের বাস্তবধর্মী আবেগময় বক্তব্য শুনে সকলেই আন্দোলনের ব্যাপারে ঐক্যমতপোষণ করেন। এ সভায় আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করার জন্য সাংবাদিক সম্মেলনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে মতে ঢাকার স্থানীয় একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এক জনাকির্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে শায়খুল হাদীস আল্লামা আজীজুল হক সাহেব উদ্ধোধনী বক্তব্য রাখেন। অতঃপর লিখিত বক্তব্য পেশ করেন আন্দোলনের পুরোধা প্রিন্সিপাল হাবিব। কর্মসূচীর আলোকে ১৮ই নভেম্বর ৯৩ইং ঢাকা বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেইটে শায়খুল হাদীস আল্লামা আজীজুল হক সাহেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশাল এক জনসভায় বক্তারা প্রিন্সিপাল সাহেবকে মুর্তাদ বিরোধী আন্দোলনের সূচনা করায় মোবারকবাদ জানান।

 

নাস্তিক, মুরতাদ তাসলিমা নাসরিন বিরোধী আন্দোলনের রূপকার-৪

প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান সাহেব কর্তৃক সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষিত তসলিমা নাসরিনের দেশদ্রোহী ও ইসলাম বিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমানের অক্লান্ত পরিশ্রম ও নেতৃত্বগুণে সূচিত আন্দোলনের ধাক্কা সারা বিশ্বে আলোড়ন তুলে। তখন বিশ্বের স্বঘোষিত মোড়ল, লম্পট, চরম ইসলাম বিদ্ধেষী বিল ক্লিনটন ও তসলিমার স্বপক্ষে অবস্থান নেয়। ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এ আন্দোলন নিয়ে আলোচনার পর মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ভারতের কলিকাতায় উগ্র বর্ণবাদী পৌত্তলিক গোষ্ঠি মনের জ্বালায় রাস্তায় নেমে আসে। তারা প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান সাহেবের কুশপুত্তলিকা দাহ করে। যা টেলিভিশনে দেখানো হয়েছে। তাছাড়া গোটা ভারতে এ আন্দোলনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। ভারত থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তসলিমাকে তার শয়তানী কর্মকান্ড অব্যাহত রাখার এবং এ ব্যাপারে তাদের যাবতীয় সজযোগিতার আশ্বাস জানিয়ে প্রতিবেদন ছাপা হয়। যেমন দৈনিক প্রতিবেদন ২ নভেম্বর ১৯৯৩ সংখ্যায় একটি লিখায় শিরোণাম ছিল তসলিমা আপনি থামবেন না, আমরা আপনার পাশে আছি। স্টেইট রিপোর্টিং পত্রিকায় ১৫ অক্টোবর ১৯৯৩ সংখ্যায় সম্পাদকীয় কলামে লিখা হয়েছে… সাহাবা সৈনিক পরিষদ সিলেট ও শ্রীহট্র ১২ ঘন্টা বন্ধ ডেকেছে… বাঁচাও সাংবাদিক বাঁচাও কমিটি হরিদাসপুর হয়ে ঢাকা অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চলবে…

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...