বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ বিকাল ৪:৫৭
Home / অনুসন্ধান / এরদোগান পর্ব শেষ করতে আমেরিকার ছিলো চুড়ান্ত প্রস্তুতি!

এরদোগান পর্ব শেষ করতে আমেরিকার ছিলো চুড়ান্ত প্রস্তুতি!

হাফিজ আব্দুল্লাহ::

 

সেদিন পাকিস্তানের সহোযোগিতায় বেঁচে গেলেন তুরস্কের কারিশমাটিক নেতা এরদোগান!
________________________________________

১৫ জুলাই ২০১৬ ঘটে ইতিহাসের স্মরণকালের সবথেকে বড় সামরির “ক্যু” যার প্রধান লক্ষ্য ছিলো তুরস্ক প্রেসিডেন্ট এরদোগান কে ক্ষমতা থেকে সরানো। কিন্তুু কি ভাবে রক্ষা পেলেন এরদোগান আজ আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো!

তখন সকাল ৯.৩০ তুরস্কের কৃষ্ণসাগরীয় অঞ্চলের একটি স্থানে এরদোগান অবকাশ যাপন করছিলেন। হঠাৎ তার স্যাটেলাইট ফোনে একটি কল আসে, কলটি ছিলো তুরস্কের সেনাপ্রধানের। সে এরদোগান কে বলেন, সেনাবাহিনীর একটি অংশ বিদ্রোহ করেছে। এই খবর পেয়ে এরদোগান সরাসরি টেলিফোন করেন আমেরিকান জেনারেল রজ ডেট্রিককে যে তুরস্ক ইনজারলিক বিমান ঘঁটির প্রধান ছিলেন। এরদোগান এর বিশ্বাস ছিলো আমেরিকা তাকে রক্ষা করবে! কিন্তুু আমেরিকান জেনারেল তাকে সাহায্য করতে আপত্তি জানাই। বিচলিত এরদোগান তার প্রিয় বন্ধু পাকিস্তানি সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফ কে ফোন দেয়। রাহিল শরিফ এরদোগানকে সর্বপ্রকার সাহায্য করার নিশ্চয়তা দেন। ইতিমধ্যে এরদোগান তার ব্যক্তিগত বিমানে ইস্তাম্বুল এর উদ্দেশ্যে হোটেল থেকে বেরিয়ে আসে।

পাকিস্তানি জেনারেল রাহিল শরিফ সাথে সাথে তুরস্কে নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্টদূত কে টেলিফোন করে এবং এরদোগান নিরাপত্তার দেওয়ার জন্য এফ-১৬ বিমান কে তৈরী করতে বলেন। উল্লেখ্য তখন পাকিস্তানি ৩০টি এফ-১৬ তুরস্কের সাথে সামরিক মহড়া দিতে তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে ছিলো। পাকিস্তানি রাষ্টদূত পাইলটদের নির্দেশ দেন যে ইস্তাম্বুলের দিকে আসতে থাকা এরদোগান এর বিমান এর নিরাপত্তা দিতে উড়ার জন্য। পাকিস্তানি পাইলটরা ১০টি এফ-১৬ নিয়ে এরদোগান এর বিমান কে ট্রেস করতে থাকে। কিছু সময় এর মধ্যে তারা এরদোগান এর বিমান কে ট্রেস করতে সক্ষম হয়। পাকিস্তানি পাইলোটেরা দেখে যে এরদোগান এর বিমানের কাছে ততক্ষনে বিদ্রোহী সেনাদের দুটি এফ-১৬ পৌছে গেছে এবং এরদোগান কে আটক করে আমেরিকান ঘাঁটির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তানি ১০ টি এফ-১৬ দেখে বিদ্রোহী সেনাদের দুটি এফ-১৬ পালিয়ে যায়। পরে এরদোগানের বিমান কে পাকিস্তানি এফ-১৬ নিরাপত্তা দিয়ে ইস্তাম্বুলে নিয়ে আসে।

ততক্ষণে পাকিস্তানি একটি বিশেষ কমান্ডো দল এরদোগান এর নিরাপত্তা দিতে ইস্তাম্বুলের একটি সামরিক বিমানবন্দরে আসে। এরদোগানের বিমান পৌছানোর পর তাকে বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে কমান্ডো দল পাকিস্তানি রাষ্টদূত এর কর্যালয় এর কছে গোপন স্থানে নিয়ে যায়।

ততক্ষণে তুরস্কের প্রধান মন্ত্রী সহ মন্ত্রী পরিষদ এর সবাই কে বিদ্রোহী সেনারা আটক করেছে। এরদোগান সরাসরি তার ব্যবহৃত মোবাইল এর মাধ্যমে একটি বক্তব্য ভিডিও করেন, ভিডিও তে তিনি জনগন কে রাস্তয় নামার নির্দেশ দেন। তার এই ভিডিও ক্লিপ টি টেলিভিশন ও মোবাইলে মুহুর্তে ছড়িয়ে পড়ে। তুরস্কের জনগন রাস্তায় নেমে আসে। বিদ্রোহী সেনাদের ট্যাংক কেড়ে নেওয়া হয়। সমস্ত রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। অবশেষে বিদ্রোহী সেনাদল আত্মসমর্পণ করে।

তুরস্ক ও বিশ্ব ইতিহাসে এটি একটি স্মরণীয় ঘটনা। যেখানে পাকিস্তান তুরস্ক কে লিবিয়া, ইরাক কিংবা সিরিয়ার মত ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে বন্ধু্ রাষ্ট্র হিসেবে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তুরস্কের ইতিহাসে পাকিস্তানের এই অবদান চিরকাল চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে!

About Islam Tajul

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...