বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ ইং
কমাশিসা পরিবারবিজ্ঞাপন কর্নারযোগাযোগ । সময়ঃ বিকাল ৩:০৫
Home / কওমি অঙ্গন / প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কওমির ১৪ লক্ষ শিক্ষার্থী পক্ষ থেকে খোলা চিঠি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কওমির ১৪ লক্ষ শিক্ষার্থী পক্ষ থেকে খোলা চিঠি

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!
আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে খুব ভালো আছেন। আমরাও সে কামনাই করি। দেশ ও মানুষের জন্য আপনার নিরলস শ্রম-সাধনাকে যেন আল্লাহ তায়ালা ইহ-পরকালের নাজাতের উসিলা বানান, সেই প্রার্থনা করি।

পর কথা হল, বিগত ১১ এপ্রিল ২০১৭ ঈসায়ি, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের শীর্ষ কওমি  আলেমদেরকে আপনি গণভবনে দাওয়াত করে যে সম্মান দেখিয়েছেন, কওমি মাদরাসার ইতিহাস ও অবদান সম্পর্কে আপনি যে ঐতিহাসিক বক্তব্য দিয়েছেন এবং  কওমি মাদরাসার সবোর্চ্চ ক্লাস দাওরায়ে হাদীসের সনদকে মাস্টার্সের মান ঘোষণা করেছেন- এজন্য কওমি মাদরাসার ১৪লক্ষ শিক্ষার্থী পক্ষ থেকে আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি। দ্বীনের জন্য ঐতিহাসিক এই ঘোষণা আপনার ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণ বয়ে আনুক।

শ্রদ্ধেয় প্রধানমন্ত্রী!
আমরা আপনার এই ঘোষণায় আনন্দিত। সারা দেশে কওমির লাখ লাখ শিক্ষার্থীদের মাঝে খুশির বন্যা বয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আতঙ্কের বিষয় হচ্ছে- ঐতিহাসিক এই ঘোষণার পর আপনার সরকারের বামধারার কয়েকজন মন্ত্রী এদেশের ১৬কোটি মানুষের আধ্যাত্বিক পথপ্রদর্শক আল্লামা শাহ আহমদ শফি দা.বা.কে নিয়ে লাগামহীন মন্তব্য ও ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে যাচ্ছেন। সাথে সাথে তারা আপনার ঘোষিত কওমি সনদের স্বীকৃতির বিরোধীতা করছেন, যা দেখে আমাদের কোমল হৃদয় ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে। আপনার ঘোষণার বিরোধীতা মানে তারা আপনার কাজের সরাসরি বিরোধীতা এবং আপনাকে হেয় ও অপদস্ত করতে মাঠে নেমেছে। আমরা বিস্মিত হচ্ছি- আপনার দয়া ও ইচ্ছায় জনবিচ্ছিন্ন ক’জন বাম রাজনীতিক মন্ত্রী হয়ে আজ কিভাবে তারা আপনার উপর কথা বলার দুঃসাহস ও স্পর্দা রাখে!

আমরা আশা করব, তাদের ব্যাপারে আপনি খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। আমরা যারা একাত্তর পরবর্তি প্রজন্ম, আমাদের মুরুব্বিদের মুখে শুনেছি- তাদের কেউ কেউ নাকি আপনার মরহুম পিতা বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ আপনার পরিবারের সদস্যদের, ছোট ছোট ভাই-বোনদের নির্মমভাবে হত্যার পর ট্রাকে উঠে উল্লাস করেছে। ৭৫-এর ১৫ই আগষ্ট আপনার পরিবারের খুনীদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। এই ইতিহাস যদি সত্য হয়, তাহলে আমরা মনে করি, ৭৫-এর হত্যাকাণ্ডের পর তাদের উল্লাস আর আজ আপনার ঘোষণার বিরোধীতা করে তাদের আস্ফালন একই সূত্রে গাঁথা। আমরা আপনার প্রতি বিনীত অনুরোধ- দেশের স্বাধীনতা, ধর্ম ও আপনার জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে আপনি তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন। আল্লাহ আপনার সহায়ক হোন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!
কওমি সনদ বিষয়ে আপনার ঐতিহাসিক স্বীকৃতি ঘোষণার পর থেকে দেশের স্বাধীনতা ও ধর্মের চিরশত্রু মওদুদীবাদী জামাত-শিবিরের লোকজন ও তাদের দোষরদের গায়ে যেন আগুন ধরেছে। তারা একের পর এক অনলাইন-অফলাইনে আপনাকে ও শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফিকে নিয়ে নানা কু-রুচিপূর্ণ মন্তব্য, কার্টুন এবং অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করে চলছে। আমরা আশা করব, দেশ ও ধর্মের এই চিরদুশমনদের ব্যাপারে আপনি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

আপনি জানেন, এই দেশে একটি দল দীর্ঘদিন ধরে ভোটের রাজনীতি ও আন্দোলন-সংগ্রামে ইসলামপ্রিয় মানুষদের বারবার ভুল বুঝিয়ে ব্যবহার করে আসছিল। আর ক্ষমতায় গিয়ে আলেমদের মূল্যায়ন না করে স্বাধীনতাবিরোধীদের মন্ত্রী করে তাদের গাড়িতে আমাদের ত্রিশলক্ষ শহীদ ও দু’লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে পাওয়া রক্তভেজা লাল সবুজের পতাকা টানিয়ে দিয়েছিল। যা ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে চরম বিশ্বাসঘাতকতা। আপনার স্বীকৃতি ঘোষণার মধ্য দিয়ে আলেমদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের সেই পথের সমাপ্তি ঘটলো। আপনার সরকারের ব্যাপারে ভুল ধারনার ইতি হয়েছে বলে আমরা মনে করি।

আপনি জানেন, উলামায়ে দেওবন্দ ও আমাদের আকাবিরগণ আজীবন মওদুদীবাদের বিরোদ্ধে সংগ্রাম করে গেছেন। আপনিও স্বাধীনতাবিরোধী এই চক্রটির সাথে আপোষহীন যে লড়াই করে যাচ্ছেন, সে লড়াইয়ে কওমির প্রতিটি সন্তানকে আপনি পাশে পাবেন আস্থার সাথে। ইসলাম ও দেশের এই শত্রুদের বিরোদ্ধে সংগ্রামে আল্লাহ যেন আপনাকে বিজয় দান করেন।

জাতির কাণ্ডারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!
আপনি গত ১১ এপ্রিল গণভবনে বলেছেন, আমাদের শিক্ষার মূলে আছে কওমি মাদরাসা৷ কওমি মাদরাসা না হলে আমরা শিক্ষাই পেতাম না৷ দ্বীনি শিক্ষা ছাড়া শিক্ষা পরিপূর্ণ হয় না। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা পরবর্তি সময় মাদরাসা শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেছিলেন। কওমী মাদরাসার জন্য জায়গা দান করেছিলেন। বৃটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন সূচিত হয়েছিল এই কওমী মাদরাসা থেকে। উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সূতিকাগারে আছে দেওবন্দের অবদান। আপনি বলেছেন কওমীর লাখ লাখ শাক্ষার্থীদের বঞ্চিত রেখে বাংলাদেশের টেকসই উন্নায়ন কখনো সম্ভব নয়। মাদরাসা শিক্ষার স্বীকৃতির মাধ্যমে আপনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আপনি বলেছেন, কওমি সনদের মান প্রদান এটা আপনার দীর্ঘ দিনের ইচ্ছে ও স্বপ্ন ছিল।

ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে দারুল উলূম দেওবন্দের ইতিহাস বর্ণনা করে কওমি মাদরাসা শিক্ষার অবদান ও প্রযোজনীয়তা এবং ঐতিহ্য উল্লেখ করে এই ধারার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কওমী মাদরাসার টাইটেল ক্লাসকে মাস্টার্স-এর মর্যাদা ঘোষণা করেছেন, তা আপনার ঐতিহাসিক একটি ঘোষণা বলে এদেশের সবাই মনে করেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!
মানুষের হৃদয় থেকে এই সত্য ইতিহাস যখন মুছে যেতে বসেছিল এবং কওমি মাদরাসা নিয়ে একটি চিহ্নিত মহল তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে যাচ্ছিল, এমন এক সময় জাতির সামনে তুলে ধরেছেন মাদরাসার সঠিক ইতিহাস৷ সময়ের এ সাহসী উচ্চারণের জন্য আপনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন কোটি মানুষের অন্তরে।
আপনার এই অসামান্য বক্তৃতা বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চ ভাষণের মতো পৃথিবীর বুকে অমর হয়ে থাকবে। আমরা এই দোয়া করছি, আল্লাহ আপনার ইচ্ছেকে ভরপুর কামিয়াব করুন।

প্রিয় প্রধানমন্ত্রী!
আপনি জানেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে এদেশের মূল ধারার কওমি আলেমদের সম্পর্কের গভীরতা নতুন নয়। এটা ঐতিহাসিক স্বীকৃত যে, কওমি মাদরাসার আলেমদের নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কওমি মাদরাসার ছাত্ররাই আওয়ামী লীগের জন্ম দিয়েছে।
যে আওয়ামী লীগ সৃষ্টি না হলে বাংলাদেশ সৃষ্টি হতো না, সেই আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মজলুম জননেতা কিংবদন্তী আলেম মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ছিলেন দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসার ছাত্র। আওয়ামী লীগের একটানা দশ বছরের সভাপতি মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগীশ ছিলেন এই কওমি মাদরাসার ছাত্র। বঙ্গবন্ধুর এই রাজনৈতিক দুই সহচর ছিলেন একান্ত আপনজন। আওয়ামী লীগের জন্ম থেকে বঙ্গবন্ধুর সাথে রাজনৈতিকভাবে এদেশের হাজার হাজার আলেম ছিলেন। কওমির সনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন আন্দোলনের পুরোধা শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রাহ. বিএনপি সরকারের আমলে ৫দিন মুক্তাঙ্গনে রাজপথে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। তৎকালিন সরকারের একজন কর্তাব্যক্তি বা কর্মচারি এসে তাকে শান্তনা প্রদান করার মতো সৌজন্য দেখাতে পারেননি। পরবর্তিতে শায়খুল হাদীস রাহ. ২০০৮ সালে আপনার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে কওমি আলেমদের সাথে আলেমদের দূরত্ব ঘুচিয়ে ছিলেন। কিন্তু চক্রান্তকারিরা বারবার আলেমদের সাথে দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করেছে।

এর আগে স্বীকৃতির নামে ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে কওমির লাখ লাখ শিক্ষার্থীদের সাথে প্রহসনের ঘোষণা দিয়ে প্রতারণা করেছেন সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রী। আমাদের হৃদয় থেকে সে ক্ষত আজো শুকায়নি। আমরা আশা করি আপনার কাছ থেকে শীঘ্রই এর যথার্থ বাস্তবায়ন ও সুফল পাব ইনশাল্লাহ।

আমরা আশা করব, আপনার দল আবার সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে এবং আপনার এই ঐতিহাসিক ভূমিকাকে কাজে লাগিযে কোন রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের পূর্বে এদেশের সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানদের মানুষের চাহিদা, ইচ্ছাকে সামনে রাখবেন। উলামাদের প্রতি আপনার দলীয় নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধু ও আপনার মত আন্তরিক সম্মান শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবেন। আল্লাহ সবাইকে তাওফিক দান করুন।

সফল রাষ্ট্রনায়ক!
আমরা আমাদের উস্তাদের মুখে শুনেছি, বঙ্গবন্ধু বাকশালের সময় স্বাধীনতা ও দেশবিরোধী কার্যক্রমের জন্য এদেশের বহু রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করলেও আলেমদের রাজনৈতিক সংগঠন জমিয়তে উলামাকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করার কারণে নিষিদ্ধ করেন নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি আওলাদে রাসূল আল্লামা সায়্যিদ আসআদ আল মাদানীকে বাংলাদেশে এনে সংবর্ধনা প্রদান করেন। তাঁর মাধ্যমে যাত্রাবাড়িতে কওমি মাদরাসার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। আপনি ২য় বার বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযুদ্ধের প্রবাসী বন্ধুদের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদানের সময় আল্লামা আসআদ মাদানী রাহ. কেও মুক্তিযোদ্ধে অবদানের জন্য ০১ অক্টোবর ২০১৩ সালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কওমি আলেমদের ঐতিহাসিক ভূমিকাকে জাতীর সামনে তুলে ধরেন। বর্তমান সময়ে আপনি বাংলাদেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত একটি সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করার যে ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন ও সংগ্রাম করে যাচ্ছেন, আমরা মনে করি সেই উন্নায়নের ধারাকে ব্যাহ্যত করার জন্য দেশ, ধর্ম ও স্বাধীনতাবিরোধী চক্র জঙ্গিবাদের সৃষ্টি করেছে। আলেম সমাজ ও কওমি মাদরাসার ছাত্ররা প্রথম জঙ্গিবাদের বিরোদ্ধে দেশের যেকোন অঙ্গনের মানুষের চেয়ে বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন। আলেমদের সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়তে উলামা এক লক্ষ আলেম মুফতির সাক্ষরিত ‘জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শান্তির ফতোয়া” জাতির সামনে পেশ করে; যা বাংলাদেশসহ বিশ্ব দরবারে ব্যাপক প্রসংশিত হয়। বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ বা কওমি মাদরাসা জাতীয় শিক্ষাবোর্ড থেকে লাখ লাখ ছাত্র জঙ্গিবাদ বিরোধী সচেতনতার জন্য স্মরণকালের দীর্ঘ মানববন্ধন করে। এভাবে আপনার জঙ্গিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সবচেয়ে সফল ও কার্যক্রর ভূমিকা পালন করে আসছে কওমী আলেম সমাজ। আপনার পিতার সময় থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের উন্নয়নে সরকারের পাশে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন বাংলার কওমী আলেমরাই।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!
আপনি হয়ত ব্যস্থ সময়ের ভিতর দিয়েও এই দীর্ঘ চিঠি পড়তে পড়তে ক্লান্তিবোধ করছেন। কিন্তু বর্তমান ঐতিহাসিক মুহূর্তে আবেগ যেখানে বেশি, বাস্তবতা যেখানে চাপা পড়ে আছে, সেখানে কিছু ইতিহাস টানতেই হয় জাতির স্বার্থে। আপনার পিতা বঙ্গবন্ধু ও আপনাকে বার বার ইসলামবিদ্ধেষী বলে আলেম-উলামার সাথে দূরত্ব তৈরির অপচেষ্টা করে আসছে একটি মহল। ইতিহাস সাক্ষী, বঙ্গবন্ধু কেবল ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেই ইসলামের প্রচার প্রসার ও খেদমত করেন নি। আলেমদের নিয়ে জাতীয় সিরাত মাহফিল নামে আমাদের প্রিয় নবীজির জীবনচর্চার একটি আয়োজন করেছিলেন। রাশিয়ায় দ্বীন প্রচারের জন্য প্রথম তাবলিগ জামাত প্রেররণ করেছিলেন। কাকরাইল মসজিদের জায়গা দিয়েছিলেন, বিশ্বব্যাপি ইসলামের প্রচারের জন্য বিশ্ব ইজতেমার ব্যবস্থা করেছিলেন, টঙ্গির ময়দানের জায়গা প্রদান করে দ্বীনের ঐতিহাসিক খেদমত করেছেন। জাতির জনকের কন্যা হিসেবে কেবল আপনার দ্বারাই লাখো কওমি শিক্ষার্থীর উন্নয়নে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করা যেতে পারে।

জননেত্রী!
সেদিন গণভবনে অনেক আলেম বলেছেন, আপনি ব্যক্তিগত জীবনে একজন দ্বীনদ্বার রমনী, নামাজি, কুরআন তেলাওয়াতকারী।
তাই আমরা আশা করতেই পারি, আপনি একজন সফল রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে সংসদে বিল পাশ করে, মন্ত্রনালয়ে আইন করে কওমি সনদের কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেন। এর দ্রুত বাস্তবায়ন এবং গণভবনে আলেমদের কাছে পেশকৃত আপনার অনন্য ওয়াদা ও বিশ্বাসের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করে ইতিহাসে দেশনেত্রী হিসেবে অমর হয়ে থাকবেন। আল্লাহ আপনাকে সুস্থ জীবন ও দীর্ঘ হায়াত দান করুন। কল্যাণকর দ্বীনী কাজের তাওফিক দান করুন। আমিন।

ইতি
১৪লক্ষ কওমি শিক্ষার্থীদর পক্ষে
মাওলানা সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ
কবি, বহুগ্রন্থপ্রণেতা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক
সাবেক শিক্ষার্থী
দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম।

About Abul Kalam Azad

mm

এটাও পড়তে পারেন

কওমি মাদরাসা কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ

খতিব তাজুল ইসলাম ট্রাস্টের প্রয়োজনীয়তাঃ কওমি অংগন একটি স্বীকৃত ও তৃণমূল প্লাটফর্ম। দেশ ও জাতির ...